ভূমি জরিপ ও রেকর্ড প্রস্ত্ততে ভূমি মালিকদেরকে সেবা প্রদান ও ভূমি মালিকদের করণীয় বিষয় নিম্নরূপ।
১. জরিপ এলাকায় জরিপ শুরম্ন হওয়ার সাথে সাথে আপনার মালিকানাধীন জমির সীমানা / আইল জরিপ কাজে নিয়োজিত আমিনদের দেখিয়ে দিন।
২. খানাপুরী স্ত্তরে নিয়োজিত আমিনদের নিকট আপনার জমির পূর্ব জরিপের দাগ, খতিয়ান নম্বর, দলিল পত্রসহ মালিকানার স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র প্রদর্শন করে আপনার জমির সঠিক রেকর্ড প্রণয়নে সহায়তা করুন। আমিনগন মাঠে নেমে ১৫ দিনে মৌজার জরিপ কাজ শেষ করবেন।
৩. বুঝারত সত্মরে আপনাকে আপনার জমির পর্চা প্রদান করা হবে। পর্চায় আপনার নাম, ঠিকানাসহ জমির দাগ, খতিয়ান নম্বর, জমির পরিমান মিলিয়ে নিন। এই কাগজগুলি আমিন এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করবেন।
৪. পর্চায় কোনরূপ ভুলভ্রামিত্ম পরিলক্ষিত হলে (Dispute) ফরম’’ পূরণ করে সংশ্লিষ্ট আমিনের নিকট দাখিল করুন এবং হল্কা অফিসারকে শুনানী গ্রহণ করে বিবাদ নিস্পত্তিতে সহায়তা করুন। হল্কা অফিসার বিবাদ শুনানীর জন্য আপনার এলাকায় এক সপ্তাহের বেশী থাকবে না।
৫. তসদিক সত্মরে খানাপুরী ও বুঝারত সত্মরে প্রণীত আপনার খতিয়ান রাজস্ব অফিসার কর্তৃক তসদিক (সত্যায়িত) করে নিন। এ স্ত্তরে খতিয়ান প্রণয়নে ভুলভ্রামিত্ম পরিলক্ষিত হলে বিবাদ (Dispute) দাখিল করে তসদিক অফিসার কর্তৃক তা সংশোধন করিয়ে নিন। তসদিক অফিসার ছোট মৌজা এক মাসে এবং বড় মৌজা দুই মাসে তসদিক সম্পন্ন করবেন।
৬. তসদিক সমাপ্তির পর খতিয়ান জনসাধারনের জন্য ৩০ দিন উন্মুক্ত রাখা হয় এবং এ পর্যায়ে মালিকদের নামের প্রথম অক্ষর অনুসারে খতিয়ানে একটি করে নতুন নম্বর প্রদান করা হয়। আপনার খতিয়ানে এই ডিপি নম্বর মিলিয়ে নিন।
৭. ডিপি খতিয়ান সম্পর্কে আপনার কোন আপত্তি থাকলে উল্লেখিত ৩০ দিনের মধ্যে ১০ টাকা কোর্ট ফি দিয়ে ৩০ বিধি অনুযায়ী খসড়া প্রকাশনা ক্যাম্পে আপত্তি দাখিল করতে পারেন। আপত্তি অফিসার আপনার আপত্তি শুনে নিস্পত্তি করবে।
৮. আপত্তি অফিসারের রায়ে সংক্ষুদ্ধ হলে ৩১ বিধি অনুযায়ী আপিল দায়ের করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন আপিল সত্মরই রেকর্ড প্রস্ত্তসের জন্য আপনাকে দেয়া সর্বশেষ সুযোগ। আপত্তির রায় প্রদানের ৩০ দিনের মধ্যে আপিল দায়ের না করলে আপনার আবেদনটি তামাদির কারণে অগ্রহণযোগ্য হবে।
৯. আপিল শুনানীর পর নক্সা ও রেকর্ড চূড়ামত্ম হবে এবং মুদ্রনের জন্য ছাপা খানায় প্রেরণ করা হবে।
১০.নক্সা ও পরচা মুদ্রিত হয়ে চূড়ামত্ম প্রকাশনাকালে সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প অফিস থেকে প্রতিটি পরচা ৬০/- এবং প্রতিটি নক্সার মূল্য বাবদ ৩৫০/- টাকা জমা দিয়ে আপনি তাৎক্ষনিকভাবে পরচা / ম্যাপ সংগ্রহ করতে পারবেন। পরবর্তীতে পরচা ও ম্যাপ জেলা প্রশাসকের দপ্তরে হসত্মামত্মরিত হলে আপনি সেখান থেকেও সমপরিমান টাকা জমা দিয়ে পরচা / ম্যাপ সংগ্রহ করিতে পারেন।
১১.মৌজার রেকর্ড চূড়ামত্ম প্রকাশনার সংক্রামত্ম গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর প্রকাশিত রেকর্ড সম্পর্কে কোন আপত্তি থাকিলে আপনি ল্যান্ড সার্ভেট্রাইব্যুনাল ২০০/- টাকার কোর্ট ফি দিয়ে অথবা দেওয়ানী আদালতে প্রতিকার প্রার্থণা করিতে পারেন।
মনে রাখবেনঃ-
* জরিপ চলাকালীন বরদ ফি খতিয়ান ও নক্সার মূল্য ডিসিআর এর মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়। ডিসিআর বহির্ভূত সকল লেনদেন নিষিদ্ধ।
* ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর হতে জমির কোন পর্চা বা ম্যাপ বেসরকারী ভাবে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ করা হয় না।
* মাঠ পর্যায়ে জরীপ কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের বিরম্নদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে তা সংশ্লিষ্ট জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার বা ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক কে অবহিত করুন।